ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ | |
---|---|
অবস্থান | |
ময়মনসিংহ শহর, শেওড়া, চরপাড়ার কাছে, ময়মনসিংহ , বাংলাদেশ , ২২০০ | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৪৪′৪৬″ উত্তর ৯০°২৪′১৪″ পূর্ব / ২৪.৭৪৬১১° উত্তর ৯০.৪০৩৯২° পূর্ব |
তথ্য | |
নীতিবাক্য | প্রভু আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৮৩ |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ |
ইআইআইএন | ১১১৯২৬ |
অধ্যক্ষ | ক্যাপ্টেন এম ইসমাইল আরমান |
অ্যাডজুট্যান্ট | মেজর রেজোয়ানা শারমিন লিমা |
ভাষা | ইংরেজী |
আয়তন | ২৫ একর (১,০০,০০০ মি২) |
রং | জলপাই সবুজ |
প্রথম অধ্যক্ষ | করিম উদ্দিন আহমেদ |
ওয়েবসাইট | mgcc.army.mil.bd |
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ মেয়েদের জন্য স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম ক্যাডেট কলেজ। এটি বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারী অনুদানে পরিচালিত বিশেষ ধরনের স্বায়ত্তশাসিত আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অবস্থান
ঢাকা-ভালুকা-ময়মনসিংহ সড়কের পাশে ময়মনসিংহ শহরের পূর্ব প্রান্তে সেহড়া এলাকায় কলেজটি অবস্থিত। অন্যান্য ক্যাডেট কলেজগুলো গ্রামীণ পরিবেশে স্থাপিত হলেও মেয়েদের কলেজ বিধায় এ কলেজটিকে যথাসাধ্য শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাখবার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কলেজটি তিন দিকে শহর দিয়ে ঘেরা হলেও এক দিকে গ্রামীণ এলাকা বিদ্যমান।
ইতিহাস
স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে স্থাপিত ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এর সাফল্যের ফলশ্রুতিতে তৈরি হয় আরো ছয়টি ক্যাডেট কলেজ যার মাঝে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ অন্যতম। ১৯৮২ সালে 'ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল ফর গার্লস' নামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৯৮২ সালের ১লা জুলাই দেশের প্রথম গার্লস ক্যাডেট কলেজটি গড়ে তোলার দায়িত্ব দেয়া হয় অধ্যক্ষ করিম উদ্দিন আহমেদকে। নিয়মানুযায়ী ৬৫ বছরের পর অধ্যক্ষ বা অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা যেত না। তাই তৎকালীন কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত যোগ্য এ মানুষটিকে বাংলাদেশের প্রথম গার্লস ক্যাডেট কলেজের দায়িত্বভার প্রদান করেন।
ক্রম | নাম | কার্যদিবস শুরু | কার্যদিবস শেষ |
---|---|---|---|
০১ | করিমউদ্দিন আহমেদ | ১লা জুলাই, ১৯৮২ | ৩০শে মার্চ, ১৯৮৭ |
০২ | সৈয়দ সলিমুল্লাহ | ৩রা এপ্রিল, ১৯৮৭ | ১০ই আগস্ট, ১৯৯১ |
০৩ | আশরাফ আলী | ১১ই আগস্ট, ১৯৯১ | ১১ই অক্টোবার, ১৯৯৪ |
০৪ | ডি এ কে দেওয়ারী | ২২ই জানুয়ারি, ১৯৯৫ | ১০ই ডিসেম্বর, ১৯৯৬ |
০৫ | ফজলুল কাদের | ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৯৬ | ৩০শে এপ্রিল, ১৯৯৮ |
০৬ | মিজানুর রহমান | ২৪শে মে, ১৯৯৮ | ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০০৪ |
কলেজ ভবন সমূহ
কলেজের মূল গেইট দিয়ে ঢুকলেই পশ্চিম পাশে রয়েছে কলেজ আবাসিক এলাকা। এটি সংলগ্ন রাস্তা ধরে সোজা চলে গেলে পড়বে মূল কলেজের ভবন সমূহ। সেগুলো হলোঃ
- প্রশাসনিক ভবন
- শিক্ষা ভবন
- কলেজ ক্যান্টিন
- কলেজ ডাইনিং হল
- হাউস ভবন
- কলেজ হসপিটাল
উল্লেখ্য, এই প্রতিটি ভবন করিডোর দিয়ে একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত যেন বৃষ্টিতে ক্যাডেটদের কোন প্রকার অসুবিধা না হয়। এছাড়াও একটি পুকুর ও তৎসংলগ্ন মাছ চাষ কেন্দ্র রয়েছে। কলেজ হসপিটালের দক্ষিণ দিকে রয়েছে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, এডজুটেন্ট ও মেডিকেল অফিসারের বাসভবন।
সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম
সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে বেশ কিছু ক্লাব রয়েছে যার কোন একটিতে একজন ক্যাডেট অংশগ্রহণ করতে বাধ্য।
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
খেলাধুলা
- ভলিবল
- বাস্কেটবল
- ক্রিকেট
- লন টেনিস
- ব্যাডমিন্টন
- সাঁতার
- টেবিল টেনিস
- ক্যারাম
- দাবা ইত্যাদি।
অন্যান্য
- বাগান করা ইত্যাদি।
ভর্তির নিয়মাবলী
আবেদন
অন্যান্য ক্যাডেট কলেজগুলোর মতই বছরে মাত্র একবার এবং শুধুমাত্র সপ্তম শ্রেণীতে ছাত্রী ভর্তি করা হয়। সাধারণত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশের প্রধাণ প্রধাণ সংবাদপত্রগুলোতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত ফর্মে আবেদন পত্র আহবান করা হয়।
যোগ্যতা
- ভর্তির বছরের পহেলা জানুয়ারীতে বয়স এগার থেকে সাড়ে বারো বছরের মাঝে হতে হবে।
- প্রার্থীকে ষষ্ঠ শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হবে। ষষ্ঠ শ্রেণীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছে এমন।
- জন্মসূত্রে অথবা অধিবাসন আইনে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- শারীরিক যোগ্যতা সম্পন্ন।
- উচ্চতা ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি হতে ৫ ফুট ৩ ইঞ্চির মধ্যে হতে হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়া
ত্রুটিহীন আবেদন পত্র সম্পন্ন প্রার্থীগণকে বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক এবং সাধারণ জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক চারটি লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয়। উত্তীর্ণ নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রার্থীকে মৌখিক ও ডাক্তারী পরীক্ষায় ডাকা হয়। সমস্ত পরীক্ষায় উপযুক্ত বিবেচিতদের মধ্য থেকে সাধারণত প্রথম পঞ্চাশ জন চূড়ান্ত ভাবে নির্বাচিত হয়।
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- প্রসপেক্টাস - ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ
- তেজশ্রী - স্যুভেনির, পুনর্মিলনী, ২০০৫