মানব বিবর্তন
মানব বিবর্তন বলতে প্রাইমেটদের ধারাবাহিক বিবর্তন এর মাধ্যমে অন্যান্য হোমিনিড থেকে একটি আলাদা প্রজাতি হিসেবে হোমো স্যাপিয়েন্স-দের (মানুষ) উদ্ভব বা বিবর্তনীয় ইতিহাসকে বোঝায়। বিবর্তনের এই ধারায় বানর ও বনমানুষও রয়েছে। এর ফলে মানুষের দ্বিপদতা (দু’পায়ে ভর করে চলা), দক্ষতা ও জটিল ভাষার মতো বৈশিষ্ট্যগুলো ধীর ও পর্যায়ক্রমিকভাবে উন্নতি লাভ করেছে বলে মনে করা হয়।[১] সেই সাথে হোমিনিড এর উপপ্রজাতিগুলোর (যেমনঃ আফ্রিকান হোমিনিড উপপ্রজাতি) আন্তঃপ্রজনন[২] ইঙ্গিত করে যে মানুষের বিবর্তন সরল রৈখিক নয়, বরং জালের মতো ছড়ানো।[৩][৪][৫][৬] এই বিষয়টি নিয়ে অধ্যয়ন করতে হলে শারীরিক ও বিবর্তনীয় নৃবিজ্ঞান, জীবাশ্মবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব ও জিনতত্ত্বসহ বিজ্ঞানের অনেক শাখার সাহায্য নিতে হয়।[৭][৮]
প্রাইমেটরা অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণী থেকে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষের দিকে প্যালিওসিন যুগে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।[৯] তাদের প্রথমদিকের জীবাশ্মগুলি প্রায় সাড়ে ৫ কোটি বছর পূর্বেকার। প্রাইমেটরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন গ্রুপের প্রজাতি বা প্রজন্ম সৃষ্টি করে যা এপ (বনমানুষ) সুপারফ্যামিলিতে নিয়ে যায় এবং শ্রেণিবিন্যাসগত দিক থেকে হোমিনিডস এবং গিবন পরিবারের জন্ম দেয়। বিভক্তির এই সময়কাল ছিল প্রায় ১.৫ থেকে ২ কোটি বছর পূর্বের। আফ্রিকান এবং এশিয়ান হোমিনিডস্ (যেমন: ওরাং ওটাং) এর বিভক্তি ঘটেছে প্রায় ১.৪ কোটি বছর আগে। গরিলিনি উপজাতি (গরিলা) থেকে হোমিনিনস (যেমন: অস্ট্রালোপিথেসিন ও প্যানিনা উপজাতি) দের বিচ্ছিন্ন হয়েছিল প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ বছর পূর্বে; আর অস্ট্রালোপিথেসাইন (যেমন: মানুষের বিলুপ্ত দ্বিপদ পূর্বপুরুষ) ৪০-৭০ লক্ষ বছর আগে গণপ্যান (শিম্পাঞ্জি ও বোনোবোস) থেকে পৃথক হয়েছিল।[১০] হোমো গণের অস্থিত্ব প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগে হোমো হ্যাবিলিস (প্রজাতি) এর উপস্থিতি দ্বারা প্রমাণিত হয়, যেখানে শারীরবৃত্তীয়ভাবে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব প্রায় ৩,০০,০০০ (৩ লক্ষ) বছর আগে আফ্রিকাতে হয়েছিল।
হোমোর পূর্বে
[সম্পাদনা]প্রাইমেটদের প্রাথমিক বিবর্তন
[সম্পাদনা]প্রাইমেটদের বিবর্তনীয় ইতিহাস সাড়ে ৬ কোটি বছরের পুরানো [১১] [১২] [১৩] [১৪] [১৫] প্লেসিয়াডাপিস প্রাচীনতম প্রাইমেট-সদৃশ স্তন্যপায়ী প্রজাতির মধ্যে অন্যতম যার উৎপত্তি হয়েছিল উত্তর আমেরিকায় । [১৬] [১৭] [১৮] [১৯] [২০] [২১] আর্কিসিবাস নামক আরেকটি প্রজাতির উৎপত্তি হয়েছিল চীনে। [২২] প্যালিওসিন এবং ইওসিন যুগের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পরিবেশে সমজাতীয় অন্যান্য বেসাল প্রাইমেট ইউরেশিয়া এবং আফ্রিকাতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত ছিল।
ডেভিড আর. বেগুন [২৩] এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে আদি প্রাইমেটরা ইউরেশিয়ায় বিকশিত হয়েছিল । আফ্রিকান বনমানুষ ও মানুষের সমগোত্রীয় একটি গণ ড্রাইওপিথেকাস ইউরোপ বা পশ্চিম এশিয়া থেকে দক্ষিণে আফ্রিকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল। ক্রান্তীয় অঞ্চলে বেঁচে থাকা প্রাইমেট অধিবাসীদের কায়রোর দক্ষিণ-পশ্চিমের ফাইয়ুমে উচ্চ ইওসিন উপযুগের শুরুতে এবং অলিগোসিন উপযুগের শেষে জীবাশ্মের স্তরে স্তরে পরিপূর্ণভাবে দেখা যায় যা থেকে সমস্ত বিদ্যমান প্রাইমেট প্রজাতির উত্থান ঘটে। এদের মধ্যে রয়েছে মাদাগাস্কারের লেমুর, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার লরিস, আফ্রিকার গ্যালাগোস বা বুশ বেবিস এবং অ্যানথ্রোপয়েড বা উচ্চতর প্রাইমেট যেমন প্লাটিরিহাইনস বা নিউ ওয়ার্ল্ড মাঙ্কি, ক্যাটারহাইনস বা ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাঙ্কি এবং মানুষসহ অন্যান্য হোমিনিড ৷
ক্যাটাররাইন হলো প্রাচীনতম পরিচিত কামোয়াপিথেকাস যাদের অস্থিত্ব ২.৪ কোটি বছর আগে অলিগোসিন উপযুগের শুরুতে কেনিয়ার উত্তরে গ্রেট রিফ্ট ভ্যালিতে পাওয়া গেছে। [২৪] এদের পূর্বপুরুষ প্রায় ৩.৫ কোটি বছর আগের ইজিপ্টোপিথেকাস, প্রোপ্লিওপিথেকাস, এবং প্যারাপিথেকাস এর সাথে সম্পর্কিত প্রজাতি বলে মনে করা হয় ।[২৫] ২০১০ সালে সাদানিয়াস কে ক্রাউন ক্যাটাররাইন এর শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষের নিকটাত্মীয় হিসাবে বর্ণনা করা হয় এবং অস্থায়ীভাবে ২.৮ থেকে ২.৯ কোটি বছরের পুরনো বলে ধারণা করা হয়। এটি জীবাশ্ম রেকর্ডে ১.১ কোটি বছরের ব্যবধান পূরণে সহায়তা করে। [২৬]
প্রায় ২.২ কোটি বছর আগে মায়োসিন যুগের শুরুতে পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন আদিম ক্যাটারাইনগুলোর(আদি প্রাইমেট) বিভিন্ন ধরনের আর্বোরিলিতে(গাছে চলন) অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া বৈচিত্র্যময় ও দীর্ঘ ইতিহাসের ইঙ্গিত দেয়। ২ কোটি বছর আগের ভিক্টোরিয়াপিথেকাসকের ফসিলকে প্রাচীনতম ওল্ড ওয়ার্ল্ড মাঙ্কির ফসিল বলে ধারণা করা হয় । প্রকন্সুল, রাংওয়াপিথেকাস, ডেনড্রোপিথেকাস, লিমনোপিথেকাস, নাকোলাপিথেকাস, ইকুয়েটোরিয়াস, নানজাপিথেকাস, আফ্রোপিথেকাস, হেলিওপিথেকাস এবং কেনিয়াপিথেকাসকে ১.৩ কোটি বছর আগের এপের বংশধর বলে ধারণা করা হয় যাদের সবাই পূর্ব আফ্রিকার অধিবাসী ছিল।
মধ্য মায়োসিনে দূরবর্তী স্থানে অন্যান্য সাধারণ নন-সারকোপিথেসিডের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। নামিবিয়ার গুহা থেকে প্রাপ্ত ওটাভিপিথেকাস ; ফ্রান্স, স্পেন এবং অস্ট্রিয়ায় প্রাপ্ত পিয়েরোলাপিথেকাস ও ড্রাইওপিথেকাস — প্রারম্ভিক এবং মধ্য মায়োসিনের তুলনামূলকভাবে উষ্ণ ও আরামদায়ক জলবায়ুতে আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত বৈচিত্র্যের প্রমাণ দেয় । মায়োসিন যুগের হোমিনোয়েডের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিল ওপিথেকাস। ইতালির কয়েল বেড থেকে প্রাপ্ত ওপিথেকাসের জীবাশ্মের বয়স প্রায় ৯০ লক্ষ বছর।
আণবিক প্রমাণাদি থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে গিবনের বংশধর প্রায় ১.৮ থেকে ১.২ কোটি বছর আগে গ্রেট এপ (বানর সদৃশ) দের ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এবং প্রায় ১.২ কোটি বছর আগে ওরাং ওটাং বিচ্ছিন্ন হয়েছিল অন্যান্য গ্রেট এপ (বানর সদৃশ) থেকে। গিবনের পূর্বপুরুষের ধারাকে নথিভুক্ত করার জন্য স্পষ্টভাবে কোন ফসিল পাওয়া যায় নি। যেটি হয়ত এতদিন অজানা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হোমিনোয়েড জনসংখ্যার মধ্যে উদ্ভূত হয়েছে, কিন্তু জীবাশ্ম প্রোটো-ওরং ওটাং গুলি ভারতের সিভাপিথেকাস এবং তুরস্কের গ্রিফোপিথেকাস দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা যেতে পারে, যার সময় প্রায় ১ কোটি বছর।
Hominidae সাবফ্যামিলি Homininae (African hominids) প্রায় ১.৪ কোটি বছর আগে Ponginae (orangutans) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। হোমিনিনস (মানুষ এবং অস্ট্রালোপিথেসিন এবং প্যানিনা উপজাতি সহ) ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ বছর আগে গরিলিনি উপজাতি (গরিলা) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল; অস্ট্রালোপিথেসাইন (মানুষের বিলুপ্ত দ্বিপদী পূর্বপুরুষসহ) ৪০-৭০ লক্ষ বছর আগে গণ প্যান (শিম্পাঞ্জি এবং বোনোবোস ধারণকারী) থেকে পৃথক হয়েছিল। হোমো গণ ২০ লক্ষ বছর আগে হোমো হ্যাবিলিস এর আবির্ভাব দ্বারা প্রমাণিত হয়, আর শারীরবৃত্তীয়ভাবে আধুনিক মানুষের আবির্ভাব প্রায় ৩,০০,০০০ (৩ লক্ষ) বছর আগে আফ্রিকাতে হয়েছিল।
অন্যান্য গ্রেট এপ (বানর সদৃশ) থেকে মানব প্রজাতির বিভক্তি
[সম্পাদনা]গরিলা, শিম্পাঞ্জি এবং মানুষের শেষ সাধারণ পূর্বপুরুষের কাছাকাছি প্রজাতিগুলি কেনিয়ায় প্রাপ্ত নাকালিপিথেকাস জীবাশ্ম এবং গ্রীসে প্রাপ্ত ওরানোপিথেকাস দ্বারা তুলে ধরা যেতে পারে। আণবিক প্রমাণাদি সূচিত করে যে ৮০ থেকে ৪০ লক্ষ বছর আগে প্রথমে গরিলা এবং তারপরে শিম্পাঞ্জি (গণ প্যান) বিবর্তিত হয়ে মানুষের দিকে নিয়ে যাওয়া ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিল। একক নিউক্লিওটাইড পলিমরফিজমের সাথে তুলনা করার সময় মানুষের ডিএনএ প্রায় ৯৮.৪% শিম্পাঞ্জির সাথে অভিন্ন (মানব বিবর্তনীয় জেনেটিক্স দেখুন)। তবে গরিলা এবং শিম্পাঞ্জির জীবাশ্ম রেকর্ড সীমিত; উভয় ক্ষেত্রেই বৃষ্টিস্নাত বনের মাটির অম্লীয় এবং হাড় দ্রবীভূত করার প্রবণতার কারণে নমুন সংরক্ষণ থাকা কঠিন ছিল।।
অন্যান্য হোমিনিন সম্ভবত বিষুবীয় রেখার বাইরে শুষ্ক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছে; এবং সেখানে তারা হরিণ, হায়েনা, কুকুর, শূকর, হাতি, ঘোড়া এবং অন্যান্যদের মুখোমুখি হয়েছিল। নিরক্ষীয় রেখাটি প্রায় ৮০ লক্ষ বছর আগে সংকুচিত হয়েছিল; তাই গরিলা এবং শিম্পাঞ্জিদের বংশ থেকে হোমিনিন বংশের - বিভক্ত হওয়ার জন্য খুব কম জীবাশ্ম প্রমাণ রয়েছে৷ প্রাচীনতম জীবাশ্মগুলিকে মানব বংশের অন্তর্গত বলে ধরে নেওয়াই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। এদের কেউ কেউ হলো সাহেলানথ্রপাস চ্যাডেনসিস (৭০ লক্ষ বছর আগে) এবং অরোরিন টিউজেনসিস (৬০ লক্ষ বছর আগে), তারপরে আরডিপিথেকাস (৫৫ থেকে ৪৪ লক্ষ বছর আগে) এবং আর.কদব্বা ও আর. রামিডাস প্রজাতির হোমিনিড ।
আর. রামিডাসের জীবন ইতিহাসের একটি গবেষণায় যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে এই প্রজাতিতে খুব প্রাথমিক হোমিনিনগুলোর শারীরবৃত্তীয় এবং আচরণগত অভিযোজনের প্রমাণ পাওয়া গেছে যা বিদ্যমান যে কোনও প্রজাতির গ্রেট এপ থেকে ভিন্ন।[২৭]
হোমো গণের বিবর্তন
[সম্পাদনা]"মানুষ" বা "হিউম্যান" শব্দটি দ্বারা এখানে প্রকৃতপক্ষে কেবল হোমো গণের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদেরকে বোঝানো হচ্ছে, যদিও মানব বিবর্তন গবেষণা করতে গিয়ে অস্ট্রালোপিথেকাস গণের অনেক প্রজাতি নিয়ে অধ্যয়ন করতে হয়- স্বভাবত সেগুলোর আলোচনাও এই বিষয়ের অধীনেই হয়। আনুমানিক ২৩ লক্ষ থেকে ২৪ লক্ষ বছর পূর্বে আফ্রিকাতে হোমো গণটি অস্ট্রালোপিথেকাস গণ থেকে পৃথক হয়ে গিয়েছিল।[২৮][২৯] হোমো গণে অনেক প্রজাতিরই উদ্ভব ঘটেছিল যদিও একমাত্র মানুষ ছাড়া তাদের সবাই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ ধরনের বিলুপ্ত মানব প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে হোমো ইরেক্টাস যারা এশিয়ায় বাস করতো এবং হোমো নিয়ানডার্টালেনসিস যারা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে ছিল । এছাড়াও সাইবেরিয়ায় অন্য এক প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায় সেটি হল হোমো ডেনিসোভিয়ান ।আর্কায়িক হোমো স্যাপিয়েন্স-দের উদ্ভব ঘটেছিল আনুমানিক ৪০০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ বছর পূর্বের সময়কালের মধ্যে। আর্কায়িক বলতে হোমো স্যাপিয়েন্সদের প্রাচীনতম সদস্যদের বোঝানো হয় যারা প্রজাতিগত দিক দিয়ে এক হলেও আধুনিক মানুষের চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে পৃথক ছিল।
দেহের অভ্যন্তরীন গড়নের দিক থেকে সম্পূর্ণ আধুনিক মানুষের উদ্ভব নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য অনুকল্প হচ্ছে "আউট অফ আফ্রিকা" বা "আফ্রিকা থেকে বহির্গমন" অনুকল্প যার সারকথা হচ্ছে আমরা আফ্রিকাতে উদ্ভূত হওয়ার পর আনুমানিক ৫০,০০০-১০০,০০০ বছর পূর্বে বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছি।[৩০][৩১][৩২][৩৩] আমাদের বিশ্বব্যাপী বিস্তৃতির সময়টাতেই এশিয়া থেকে হোমো ইরেক্টাস (যাদেরকে ইরেক্ট ডাকা হয়) এবং ইউরোপ থেকে নিয়ানডার্টালরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আরেকটি ভিন্ন অনুকল্প হচ্ছে, আনুমানিক ২৫ লক্ষ বছর পূর্বে ইরেক্ট বা এরগ্যাস্টরা আফ্রিকা থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল, এদের উত্তরপুরুষ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক ভাবেই আমাদের উৎপত্তি ঘটেছে, তবে ভৌগলিকভাবে পৃথক সেসব হোমো-দের মধ্যে অন্তঃপ্রজনন সম্ভব ছিল। প্রতিনিয়তই মানব বিবর্তন সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি আমরা। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী আধুনিক মানুষ প্রায় ২ লক্ষ বছর আগে আফ্রিকা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বতসোয়ানা[৩৪]
প্রজাতির তালিকা
[সম্পাদনা]গণকে তালিকা হিসেবে নিচে উদ্ধৃত করা হলো
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- ফ্যাক্ট ও তত্ত্ব হিসেবে বিবর্তন
- বিবর্তন বিরোধিতা
- বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প
- নৈতিকতার বিবর্তন
- ধর্মের বিবর্তনীয় উৎস
- বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান
- ভাষার উৎস
- মানব বিবর্তনের কালপঞ্জি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Brian K. Hall; Benedikt Hallgrímsson (২০১১)। Strickberger's Evolution। Jones & Bartlett Publishers। পৃষ্ঠা 488। আইএসবিএন 978-1-4496-6390-2।
- ↑ Mondal M, Bertranpetit J, Lao O (জানুয়ারি ২০১৯)। "Approximate Bayesian computation with deep learning supports a third archaic introgression in Asia and Oceania"। Nature Communications। 10 (1): 246। ডিওআই:10.1038/s41467-018-08089-7। পিএমআইডি 30651539। পিএমসি 6335398 । বিবকোড:2019NatCo..10..246M।
- ↑ Antrosio, Jason (আগস্ট ২৩, ২০১৮)। "Denisovans and Neandertals: Rethinking Species Boundaries"। Living Anthropologically।
- ↑ Human Hybrids ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত আগস্ট ২৪, ২০১৮ তারিখে. (PDF). Michael F. Hammer. Scientific American, May 2013.
- ↑ Yong, Ed (জুলাই ২০১১)। "Mosaic humans, the hybrid species"। New Scientist। 211 (2823): 34–38। ডিওআই:10.1016/S0262-4079(11)61839-3। বিবকোড:2011NewSc.211...34Y।
- ↑ Rogers Ackermann, Rebecca; Mackay, Alex; Arnold, Michael L (অক্টোবর ২০১৫)। "The Hybrid Origin of "Modern" Humans"। Evolutionary Biology। 43 (1): 1–11। ডিওআই:10.1007/s11692-015-9348-1।
- ↑ Heng HH (২০০৯)। "The genome-centric concept: resynthesis of evolutionary theory"। Bioessays। 31 (5): 512–25। ডিওআই:10.1002/bies.200800182। পিএমআইডি 19334004। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Marlowe, Frank W. (২০০৫-০৪-১৩)। "Hunter-gatherers and human evolution"। Evolutionary Anthropology: Issues, News, and Reviews। 14 (2): 54–67। এসটুসিআইডি 53489209। ডিওআই:10.1002/evan.20046।
- ↑ Tyson, Peter (জুলাই ১, ২০০৮)। "Meet Your Ancestors"। Nova ScienceNow। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৮, ২০১৫।
- ↑ "Bonobos Join Chimps as Closest Human Relatives"। www.science.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১০।
- ↑ Maxwell 1984।
- ↑ Rui Zhang; Yin-Qiu Wang (জুলাই ২০০৮)। "Molecular Evolution of a Primate-Specific microRNA Family": 1493–1502। আইএসএসএন 0737-4038। ডিওআই:10.1093/molbev/msn094 । পিএমআইডি 18417486।
- ↑ Willoughby, Pamela R. (২০০৫)। "Palaeoanthropology and the Evolutionary Place of Humans in Nature": 60–91। আইএসএসএন 0889-3667। ডিওআই:10.46867/IJCP.2005.18.01.02। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫।
- ↑ Martin 2001।
- ↑ Tavaré, Simon; Marshall, Charles R. (এপ্রিল ১৮, ২০০২)। "Using the fossil record to estimate the age of the last common ancestor of extant primates": 726–729। আইএসএসএন 0028-0836। ডিওআই:10.1038/416726a। পিএমআইডি 11961552।
- ↑ Rose, Kenneth D. (১৯৯৪)। "The earliest primates": 159–173। আইএসএসএন 1060-1538। ডিওআই:10.1002/evan.1360030505।
- ↑ Fleagle, John; Gilbert, Chris (২০১১)। Myers, Marc, সম্পাদক। "Primate Evolution"। All The World's Primates। Primate Conservation, Inc.। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫। Editors list-এ
|শেষাংশ1=
অনুপস্থিত (সাহায্য) - ↑ Roach, John (মার্চ ৩, ২০০৮)। "Oldest Primate Fossil in North America Discovered"। National Geographic News। Washington, DC: National Geographic Society। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫।
- ↑ McMains, Vanessa (ডিসেম্বর ৫, ২০১১)। "Found in Wyoming: New fossils of oldest American primate"। The Gazette। Baltimore, MD: Johns Hopkins University। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫।
- ↑ Caldwell, Sara B. (মে ১৯, ২০০৯)। "Missing link found, early primate fossil 47 million years old"। Digital Journal। Toronto, Canada। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫।
- ↑ Watts, Alex (মে ২০, ২০০৯)। "Scientists Unveil Missing Link In Evolution"। Sky News Online। London: BSkyB। জুলাই ২৮, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৭, ২০১৫।
- ↑ Wilford, J.N. (জুন ৫, ২০১৩)। "Palm-size fossil resets primates' clock, scientists say"। The New York Times। ২০২২-০১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৫, ২০১৩।
- ↑ Kordos, László; Begun, David R. (জানুয়ারি ২০০১)। "Primates from Rudabánya: allocation of specimens to individuals, sex and age categories": 17–39। আইএসএসএন 0047-2484। ডিওআই:10.1006/jhev.2000.0437। পিএমআইডি 11139358।
- ↑ Cameron 2004।
- ↑ Wallace 2004।
- ↑ Zalmout, Iyad S.; Sanders, William J. (জুলাই ১৫, ২০১০)। "New Oligocene primate from Saudi Arabia and the divergence of apes and Old World monkeys": 360–364। আইএসএসএন 0028-0836। ডিওআই:10.1038/nature09094। পিএমআইডি 20631798।
- ↑ Clark, G.; Henneberg, M. (জুন ২০১৫)। "The life history of Ardipithecus ramidus: a heterochronic model of sexual and social maturation"। Anthropological Review। 78 (2): 109–132। এসটুসিআইডি 54900467। ডিওআই:10.1515/anre-2015-0009 ।
- ↑ Stringer, C.B. (১৯৯৪)। "Evolution of early humans"। Steve Jones, Robert Martin & David Pilbeam (eds.)। The Cambridge Encyclopedia of Human Evolution। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 242। আইএসবিএন 0-521-32370-3। Also আইএসবিএন ০-৫২১-৪৬৭৮৬-১ (paperback)
- ↑ McHenry, H.M (২০০৯)। "Human Evolution"। Michael Ruse & Joseph Travis। Evolution: The First Four Billion Years। Cambridge, Massachusetts: The Belknap Press of Harvard University Press। পৃষ্ঠা 265। আইএসবিএন 978-0-674-03175-3।
- ↑ "Out of Africa Revisited - 308 (5724): 921g - Science"। Sciencemag.org। ২০০৫-০৫-১৩। ডিওআই:10.1126/science.308.5724.921g। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩।
- ↑ Nature (২০০৩-০৬-১২)। "Access : Human evolution: Out of Ethiopia"। Nature। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩।
- ↑ "Origins of Modern Humans: Multiregional or Out of Africa?"। ActionBioscience। ২০১০-১১-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩।
- ↑ "Modern Humans - Single Origin (Out of Africa) vs Multiregional"। Asa3.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-২৩।
- ↑ প্রথম আলো, ৩০ অক্টোবর ২০১৯