কাশ্যপীয়
আদি বৌদ্ধধর্ম |
---|
কাশ্যপীয় (সংস্কৃত: काश्यपीय) হলো ভারতের অন্যতম আদি বৌদ্ধ সম্প্রদায়, এবং বিভজ্যবাদ সম্প্রদায়ের উপ-সম্প্রদায়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কাশ্যপীয় সম্প্রদায় আনুমানিক ১৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে স্বাধীন সম্প্রদায়ে পরিণত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।[১] থেরবাদী মহাবংশ অনুসারে, কাশ্যপীয়রা ছিলো সর্বাস্তিবাদীদের শাখা।[২] মহাসাংঘিক বিবরণ মতে, সম্প্রদায়টি বিভজ্যবাদীদের থেকে এসেছে।[৩]
জুয়ানজাং ও ইজিং কাশ্যপীয় সম্প্রদায়ের ছোট ছোট অংশগুলিকে সপ্তম শতাব্দীর কাছাকাছি, এবং এখনও বিদ্যমান রয়েছে বলে উল্লেখ করে, যা থেকে বোঝা যায় যে এই সম্প্রদায়ের অধিকাংশই হয়তো এই সময়ের মধ্যে মহাযান শিক্ষা গ্রহণ করেছে।[৪]
খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে, ইজিং মহিষাসক, ধর্মগুপ্তক ও কাশ্যপিয়কে সর্বাস্তিবাদের উপ-সম্প্রদায় হিসাবে একত্রে গোষ্ঠীভুক্ত করেন এবং বলেছিলেন যে এই তিনটি গোষ্ঠী "ভারতের পাঁচটি অংশে" প্রচলিত ছিল না। কিন্তু ওড্ডিয়ান, খোতান ও কুছের কিছু অংশে অবস্থিত ছিল।[৫]
মতবাদ
[সম্পাদনা]বসুমিত্রের ইতিহাসে সাম্যভেদোপরচনচক্র, হৈমবত (কাশ্যপীয় সম্প্রদায়) কে স্থবির ও মহাসাংঘিক উভয়ের মতবাদ সমর্থনকারী সারগ্রাহী সম্প্রদায় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৬]
কথাবত্থু ভাষ্য অনুসারে, কাশ্যপীয়রা বিশ্বাস করতেন যে অতীতের ঘটনাগুলি বর্তমানের কোনো না কোনো আকারে বিদ্যমান।[৭]
অ্যান্টনি কেনেডি ওয়ার্ডারের মতে, কাশ্যপীয় সম্প্রদায় এই মতবাদ ধারণ করেছিল যে অর্হতগণ ভুল ও অপূর্ণ ছিলেন, যা সর্বাস্তিবাদ ও মহাসাংঘিক সম্প্রদায়ের মতবাদের অনুরূপ।[৮] তারা মনে করত যে অর্হৎ আকাঙ্ক্ষাকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করেনি, তাদের "পরিপূর্ণতা" অসম্পূর্ণ, এবং তাদের পক্ষে পুনরায় সংঘটিত হওয়া সম্ভব।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Warder (1970/2004), p. 277.
- ↑ See, e.g., Mahāvaṃsa (trans., Geiger, 1912), ch. 5, "The Third Council," retrieved 27 Nov 2008 from "Lakdiva" at http://lakdiva.org/mahavamsa/chap005.html.
- ↑ Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 51
- ↑ Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 52
- ↑ Yijing. Li Rongxi (translator). Buddhist Monastic Traditions of Southern Asia. 2000. p. 19
- ↑ Baruah, Bibhuti. Buddhist Sects and Sectarianism. 2008. p. 54
- ↑ Malalasekera, G. P.। Dictionary Of Pali Proper Names2 Vols. (ইংরেজি ভাষায়)। Asian Educational Services। আইএসবিএন 978-81-206-1823-7।
- ↑ ক খ Warder, A.K. Indian Buddhism. 2000. p. 277
উৎস
[সম্পাদনা]- Brough, John (2001). The Gāndhārī Dharmapada. Delhi: Motilal Banarsidass Publishers Private Limited.
- Geiger, Wilhelm (trans.), assisted by Mabel H. Bode (1912). The Great Chronicle of Ceylon. Pali Text Society. আইএসবিএন ০-৮৬০১৩-০০১-০. Retrieved 27 Nov 2008 from "Lakdiva" at http://lakdiva.org/mahavamsa/.
- Malalasekera, G.P. (2003). Dictionary of Pali Proper Names. Asian Educational Services. আইএসবিএন ৮১-২০৬-১৮২৩-৮.
- Warder, A.K. (1970/2004). Indian Buddhism. Delhi: Motilal Banarsidass. আইএসবিএন ৮১-২০৮-১৭৪১-৯.