বিষয়বস্তুতে চলুন

যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী
জন্ম১৮৫৫
মৃত্যুনভেম্বর ২৬, ১৯২০(১৯২০-১১-২৬)
মাতৃশিক্ষায়তনআলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণপাটীগণিত (বই)
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রগণিত
প্রতিষ্ঠানসমূহআলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা সিটি কলেজ

যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট গণিতবিদ। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে “গণিত সম্রাট” উপাধি দিয়েছিল।[]

জন্ম ও শৈশব

[সম্পাদনা]

চক্রবর্তী ১৮৫৫ সালে সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্ধি মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কৃষ্ণ চন্দ্র চক্রবর্তী ও মাতা দুর্গা সুন্দরী।[] তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন পুরোহিত। তার আর্থিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না এবং চক্রবর্তী বাল্যকালে বাবাকে হারান।[]

শিক্ষাজীবন

[সম্পাদনা]

নিজ গ্রামের বিদ্যালয়েই তিনি শিক্ষাজীবন শুরু করেন। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে তিনি গণিতে এম.এ. করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি কলকাতা সিটি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরবর্তীতে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাটিগণিতের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এখানে অধ্যাপনা কালে ১৮৯০ সালে ইংরেজিতে পাটিগণিতের একটি বইটি প্রকাশ করেন, যা অল্প সময়ের মাঝেই বাংলা, উর্দু, হিন্দি, অসমীয়া, মায়াবী, নেপালী প্রভৃতি ভাষায় অনূদিত হয়। পরে তাম্রলিপি প্রকাশনী যা পুনঃপ্রকাশ করে।[] ১৯১২ সালে তিনি বীজগণিতের একটি বই প্রকাশ করেন। এটিও অনেক জনপ্রিয় হয়। ১৯১৬ সালে তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

অবসর গ্রহণের পর তিনি সিরাজগঞ্জে ফিরে আসেন। সিরাজগঞ্জ শহরে তার পূর্বে তৈরিকৃত নিজ বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯২০ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি কলকাতার নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বাংলার"গণিত সম্রাট"যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী"। ৪ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "গণিত সম্রাট যাদব চক্রবর্তী"। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  3. https://www.rokomari.com/book/32179/patigonit