বিষয়বস্তুতে চলুন

রেগে

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৮০ সালে বব মার্লি সঙ্গীত পরিবেশন করছেন

রেগে (ইংরেজি: Reggae) এক প্রকার সঙ্গীত ধারা যা জ্যামাইকাতে ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে বিকাশ লাভ করে। রেগে বলতে আসলে বৃহৎ অর্থে জ্যামাইকার সঙ্গীতকে বোঝালেও আসলে তা স্কারকস্টেডি নামের দু’টি ধারার মাধ্যমে পরিণতি লাভ করে। রেগে সঙ্গীতের এক ধরনের ছান্দিক ভংগি যা স্কার চেয়ে ধীর গতির, আবার রকস্টেডির চেয়ে দ্রুতগতির। রেগে শব্দটি প্রথম সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় ১৯৬৮ সালে দ্যা ম্যাতালসের রকস্টেডি ধারার জনপ্রিয় গান ‘’’ডু দ্যা রেগে’’’-এর মাধ্যমে। রেগে শিল্পী ডেরিক মরগান বলেনঃ ‘’ আমরা রকস্টেডি নামটা পছন্দ করি না। তাই আমি অন্য ধরনের ফ্যাট ম্যান-এর চেষ্টা করছি। এটা বিটকে আবার পরিবর্তন করেছে, যা অর্গানকে নিঃশব্দ করছে। প্রযোজক বানি লি এটা পছন্দ করছেন। অর্গান ও রিদম গিটারের মাধ্যমে তিনি শব্দ তৈরি করছেন। এটা শোনাচ্ছে ‘’রেগে, রেগে’’-এর মতো। বানি লি এই শব্দটা তৈরি করেছিল এবং শীঘ্রই সব মিউজিশিয়ান বলতে শুরু করেছিল ‘’রেগে, রেগে, রেগে’’। বব মার্লি বলেন যে রেগে শব্দটা এসেছে একটা স্প্যানিশ শব্দ থেকে যার অর্থ রাজার সঙ্গীত। যদিও আফ্রিকানআমেরিকান জ্যাজ এবং পুরানো কালের রিদম এ্যান্ড ব্লুজের মাধ্যমে রেগে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত, কিন্তু তা আসলে স্কারকস্টেডি নামের দু’টি ধারার সঙ্গীতের উন্নতির ফলে জন্ম নেয় ১৯৬০-এর দশকের। ১৯৬৮ সালে প্রথম রেগে ধারার গানের রেকর্ড বের হয়, যা ছিল ল্যারি মার্শালের নানি গোট এবং দ্যা বেল্টনের নো মোর হার্ট টাচেস। সে সময়ে রক সঙ্গীতে রেগের প্রভাব দেখা যায় দ্যা বিটলসের অব-লা-দি, অব-লা-দি।[] বব মার্লি, পিটার টোস এবং বানি ওয়েলারের ব্যান্ড দ্যা ওয়েলারস ১৯৬৩ সালে গঠিত হয় যারা জ্যামাইকার জনপ্রিয় সঙ্গীতে তিনটি ধারা রেগে, স্কারকস্টেডির সফল বিবর্তন ঘটায়। ১৯৭৪ সালে এরিক ক্ল্যাপটনের গান আই শুট দ্যা শেরিফ যা আগে বব মার্লি গেয়েছিল, রেগে ধারার গানকে মূল ধারায় নিয়ে আসতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Reggae [Relation to Rock & Roll] Richie Unterberger All Music Guide

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]