হাইরেদ্দীন বারবারোসা
হাইরেদ্দীন বারবারোসা খাইরুদ্দীন বারবারোসা | |
---|---|
ডাকনাম | বারবারোসা রেড বিয়ার্ড খয়ের-আ-দ্দীন |
জন্ম | ১৪৭৮ পালাইওকিপোস লেসবোস, উসমানীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ৪ জুলাই ১৫৪৬ কন্সটান্টিনোপল, উসমানীয় সাম্রাজ্য | (বয়স ৬৭–৬৮)
আনুগত্য | উসমানীয় সাম্রাজ্য |
কার্যকাল | ১৫০০-১৫৪৫ |
পদমর্যাদা | নৌ-সেনাপতি |
হাইরেদ্দীন বারবারোসা বা বারবারোসা হাইরেদ্দীন পাশা বা খাইরুদ্দীন বারবারোসা (তুর্কি: Barbaros Hayreddin (Hayrettin) Paşa জন্ম: খিজির বা খিদার, তুর্কি: Hızır; খ্রি. ১৪৭৮ – ৪ জুলাই, ১৫৪৬), ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের অ্যাডমিরাল অফ দ্য ফ্লিট[১] যিনি লেসবোস দ্বীপপুঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন ও উসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী কন্সটান্টিনোপলে মৃত্যুবরণ করেন। স্পেনের অ্যাডমিরাল আন্দ্রে ডুরিয়ো নেতৃত্বে সম্মিলিত খ্রিস্টান বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৫৩৮ সালে প্রিভিজার যুদ্ধে বারবারোসা বিজয় ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উসমানীয় সাম্রাজ্যের আধিপত্যকে আরো বেশি সুরক্ষিত করে। এই আধিপত্য স্থায়ী ছিল, ১৫৭১ সালে ল্যাপান্টোর যুদ্ধের পূর্ব পর্যন্ত।
হাইরেদ্দীন (আরবি: খয়ের আদ-দীন خير الدين, যার অর্থ - ধার্মিকতা বা ইসলাম ধর্মের জন্য শ্রেষ্ঠ) নামটি সম্মান দিয়ে তাকে দিয়েছিলেন সুলতান সুলাইমান দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট। তিনি ইউরোপে বারবারোসা (ইতালীয় ভাষায়: রেডবিয়ার্ড) নামে পরিচিত হতে থাকেন যে নামটি তিনি তার ভাই বাবা ওরুজ (ফাদার অরুজ) এর কাছ থেকে পেয়েছিলেন যখন তার ভাই স্প্যানীয়দের সাথে এক যুদ্ধে আলজেরিয়ায় নিহত হন। ইউরোপীয়দের কাছে এই নামটি রেডবিয়ার্ড হিসেবে পরিচিত হওয়ার কারণ বাবা ওরুজের লাল দাড়ি ছিল। এরপর থেকে হাইরেদ্দীনের তুর্কী নামের সাথে 'বারবারোস' শব্দ থেকে এই ডাকনামটি যুক্ত হয়ে যায়।
ভাই-বোন - ইসহাক আগা, ওরুচ রেইস, ইলিয়াস রেইস
নেপথ্য
[সম্পাদনা]খিজির ১৪৬৬[২] সালে বা ১৪৭৮[৩] সালে লেসবোস দ্বীপপুঞ্জের পালাইওকিপস গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার নিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ থেকে জানা যায়, তিনি আলবেনিয়ান বংশোদ্ভূত[২][৫][৬][৭] তুর্কী সিপাহি[৮][৯][১০] ইয়াকুপের পুত্র ছিলেন ও তার বাবা উসমানীয়দের দ্বারা এই দ্বীপপুঞ্জ অধিকৃত হওয়ার পর এখানে বসবাস করা শুরু করেন।[১১][১২] তার মায়ের নাম ক্যাটিরিনা, তিনি ছিলেন একজন গ্রিক।[১৩] আলজিয়ার্সে তার তৈরি মসজিদের তালিকা থেকে জানা যায় তার পিতার পুরো নাম ইউসুফ ইয়াকুব আল-তুর্কী ও সেখানেও দাবি করা হয় তার পিতা তুর্কী বংশদ্ভূত ছিলেন।[১২] অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে খিজর সম্ভবত গ্রিক,[১৪] তার মাকে ম্যাটেলির স্থানীয় গ্রিক খ্রিস্টান মহিলা হিসেবে উল্লেখ করা হয় যিনি একজন অর্থোডক্স যাজকের বিধবা স্ত্রী ছিলেন।[১৫] তার বাবা ভারদারি ইয়াকুপ আগা ম্যাটেলির[৪][১৬][১৭][১৮] ছিলেন এবং ১৪৬২ সালে লেসবোসে উসমানীয় অভিযানের সময় তিনি গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর পুরস্কার হিসেবে দ্বীপের বোনোভা গ্রামে একটি কেল্লা নির্মাণের সুযোগ পান। ইয়াকুপ ও ক্যাটিরিনা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন[৪] এবং তাদের দুটি মেয়ে এবং চার জন ছেলে ছিল; ইসহাক, অরুজ, খিজির ও ইলিয়াস। ক্রমেই ইয়াকুপ কুমার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান এবং একটি নৌকা সংগ্রহ করে তার মালামাল নিয়ে বাণিজ্য করতে বের হন। তার চার ছেলেরা তাদের বাবাকে ব্যবসায় সাহায্য করত কিন্তু তার মেয়েদের কথা খুব বেশি জানা যায় না। প্রথমদিকে অরুজ তার পিতাকে নৌকার কাজে সাহায্য করত যখন খিজির হাড়ি পাতিল তৈরির কাজে সহায়তা করত।
প্রারম্ভিক কর্মজীবন
[সম্পাদনা]খিজিরের ভাইরা সবাই সমুদ্র বিষয়ক কাজে ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে জরিয়ে পরে। তার ভাই অরুজ, আরেক ভাই ইলিয়াসের সাথে সমুদ্রে বাণিজ্য পরিচালনা করত। পরবর্তীতে নিজের জন্য একটি জাহাজ সংগ্রহ করার পর খিজিরও সমুদ্রে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তার ভাইয়েরা প্রথমদিকে নাবিক হিসেবে কাজ শুরু করলেও পরবর্তীকালে প্রাইভেটিয়ার (শত্রু-জাহাজ আক্রমণ ও লুণ্ঠনের অধিকারপ্রাপ্ত বেসরকারী জাহাজ) হিসেবে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তারা নাইট সেন্ট জনের দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাইভেটিয়ারদের প্রতিহত করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যিনি রোডিস দ্বীপপুঞ্জে তার বেস ক্যাম্প স্থাপন করেছিলেন (১৫২২-এর পূর্ব পর্যন্ত)। অরুজ ও ইলিয়াস লিভেন্টে অর্থাৎ অ্যানোটোলিয়া, সিরিয়া এবং মিসরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। খিজির অজিয়ান সাগরে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তার বেস ক্যাম্প ছিল, থিসালোনিকিতে। সবার বড় ভাই ইসহাক মিটেলিতে অবস্থান করে পরিবারের অর্থনৈতিক দিক দেখাশোনা করতেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ও তার ভাই উরুচ সাগরে চষে বেড়াতেন। লেখাপড়ার প্রতি মোটেও কোনো আগ্রহ ছিল না তাদের। সাগরে বাণিজ্য করতেন। তাদের আরও দুজন ভাই ছিলেন। ইসহাক ও ইলিয়াস। ইসহাক লেখাপড়া জানা একজন বিদ্বান মানুষ ছিলেন।
বারবারোস ও উরুচের দাপুটে শক্তি দেখে উসমানি সুলতান ইয়াভুজ সেলিম তাদেরকে উসমানি নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরে সুলেমান কানুনি বারবারোসকে উসমানি নৌবাহিনীর প্রধান ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি দেন।
ইলিয়াসের মৃত্যু, অরুজের বন্দিদশা ও যুদ্ধ
[সম্পাদনা]অরুজ ছিল সফল একজন সমুদ্র অভিযাত্রিক। তিনি তার প্রারম্ভিক কর্মজীবনে ইতালীয়, স্প্যানিশ, ফরাসি, গ্রিক ও আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। লিবিয়িার ত্রিপলি থেকে বাণিজ্য অভিযান শেষে ফেরার পথে তাদের জাহাজ নাইট সেন্ট জন-এর সৈন্য দ্বারা আক্রান্ত হয়। যুদ্ধে ইলিয়াস নিহত হন ও অরুজ মারাত্বকভাবে আহত হন। তাদের পিতার জাহাজটি সৈন্যদের দ্বারা দখল হয়ে যায় এবং অরুজ বোদরামে নাইটের দুর্গে প্রায় তিন বছর বন্দি অবস্থায় থাকেন। ভাইয়ের অবস্থান জানার পর খিজির বোদরামে আসেন ও তার ভাইকে পালাতে সহয়তা করেন।
অরুজের অধীনে খিজিরের কর্মজীবন
[সম্পাদনা]১৫০৩ সালে অরুজ তিনটি জাহাজ সংগ্রহ করতে সক্ষম হন এবং পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জেরবা দ্বীপে তার নতুন বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। খিজির জেরবায় অরুজের সাথে যোগ দেন। ১৫০৪ সালে এই ভ্রাতৃদ্বয় তিউনিশিয়ার বেনি হাফ রাজবংশের সুলতান আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ হামিসের সাথে যোগাযোগ করেন এবং কৌশলগতভাবে গোলিতি বন্দরকে তাদের অপারেশনের জন্য ব্যবহারের জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। তাদের আবেদন গৃহীত হয় এই শর্তে যে, তাদের লাভের এক-তৃতীয়াংশ সুলতানকে দিতে হবে। অরুজ একটি ছোট গ্যালোসের দ্বায়িত্বে ছিল এবং তারা এলবা দ্বীপপুঞ্জ থেকে আরো দুটি মোটামুটি বড়ধরনের প্যাপাল গ্যালিস আটক করে। পরবর্তীতে লিপারীর কাছ থেকে তারা একটি সিসিলিয় যুদ্ধ জাহাজ আটক করে যার মধ্যে ৩৮০ জন স্পেনীয় সৈন্য ও ৬০ জন স্পেনীয় নাইট ছিলেন যারা স্পেন থেকে নেপলস-এর দিকে যাচ্ছিলেন। ১৫০৫ সালে তারা ক্যালাব্রিয়া উপকূলে অভিযান পরিচালনা করেন। এসকল কর্মকাণ্ড তাদের খ্যাতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং তাদের সাথে বিখ্যাত কিছু মুসলিম জলদস্যু জাহাজ (Kurtoğlu) যোগ দেয়। ১৫০৮ সালে তারা লিগোরিয়া উপকূলে অভিযান চালান, বিশেষ করে দিয়ানো মারিয়ানা।
১৫০৯ সালে, ইসহাক ম্যাটেলি ত্যাগ করে লা গোলিতে তার ভাইদের সাথে যোগ দেন। অরুজের খ্যাতি বৃদ্ধি পায় মূলত ১৫০৪ থেকে ১৫১০ এর সময়ে, তখন তিনি খ্রিস্টান স্পেন থেকে মুসলমান মাদিজারদের উত্তর আফ্রিকা পৌঁছে দিতেন। স্পেনের মুসলমানদের প্রয়োজনে সাহায্য করার মানসিকতা এবং তাদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সম্মান করে তাকে বাবা অরুজ নামে ডাকা হতো। ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনে এই নামের সমার্থক শব্দ হলো, বারবারোসা যার অর্থ রেডবিয়ার্ড (ইতালি)।
১৫১০ সালে এই তিনভাই সিসিলির কেপ পাসেরোতে অভিযান পরিচালনা করেন এবং বৌগি, ওরান ও অলজিয়ার্সে স্পেনীয় আক্রমণ প্রতিহত করেন। ১৫১১ সালের আগস্টে তারা দক্ষিণ ইতালির রিগিও ক্যালাব্রিয়া অঞ্চলে অভিযান চালান। ১৫১২ সালের আগস্টে, বৌগির নির্বাসিত শাষক স্পেনীয়দের তাড়িয়ে দিতে তাদেরকে আমন্ত্রন জানান এবং যুদ্ধে অরুজ তার বাম বাহু হারান। এই ঘটনার পর থেকে তিনি গুমোস কোল (তুর্কীর ভাষায়: রুপালি বাহু) নামে পরিচিতি লাভ করেন, কারণ তিনি তার হারানো বাহুর জায়গায় একটি রুপালি প্রোস্থেটিক ডিভাইস ব্যবহার করতেন। পরের বছর তারা স্পেনের আন্দালোসিয়া উপকূলে অভিযান পরিচালনা করে গিনোয়ার লোমিল্লিনি পরিবারের গ্যালিয়টকে আটক করেন যিনি ঐ অঞ্চলের টাবার্কা দ্বীপের মালিক ছিলেন। পরবর্তীতে মিনোরকাতে একটি উপকূলীয় দূর্গ দখলের পর তারা লাইগুরিয়ার দিকে যাত্রা করেন। পরবর্তীতে একমাসেরও কম সময়ে ২৩টি জাহাজ দখলের পর, ভ্রাতৃত্রয় লা গোলিটির দিকে যাত্রা করেন।
সেখানে তারা আরো তিনটি গ্যালিয়ট ও গোলাবারুদ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করেন। ১৫১৩ সালে ফ্রান্স যাওয়ার পথে তারা চারটি ইংরেজ জাহাজ আটক করেন, ভেলেন্সিয়াতে অভিযান চালিয়ে আরো চারটি এবং পরবর্তীতে অ্যালিক্যান্টির দিকে যাত্রা করে মালাগার কাছে একটি স্প্যানীয় গ্যালি আটক করেন। ১৫১৩ ও ১৫১৪-এ ভাতৃত্রয় আরো কয়েকটি স্প্যানিয় জাহাজ আটক করেন এবং আলজিয়ার্সের পূর্বে চিরচিলে তাদের নতুন বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। ১৫১৪-এ ১২ গ্যালিয়ট ও ১০০০ তুর্কীর সহয়তায়, তার বৌগিতে দুটি স্পেনীয় দূর্গ ধংস্ব করেন এবং যখন স্পেনীয় বাহিনী মিগুয়েল ডি গোরিয়ায়ের নেতৃত্তে সাহায্যের জন্য পৌঁছায়, তখন আলজেরিয়ার জিজুলিকে আটকের পূর্বে তারা কিউটার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে এবং শহরে অভিযান চালান যা গিনোসির নিয়ন্ত্রণে ছিলো। তারা পরবর্তীতে তিউনিশিয়ার মাদিয়াকে আটক করেন। তার পরপরই তারা বেলেরিক দ্বীপপুঞ্জের সার্দিনিয়ার সিসিলি উপকূলে অভিযান চালান, একই সাথে স্পেনিশ মেইনল্যান্ডেও অভিযান পরিচালনা করেন। যেখান থেকে তারা তিনটি বড় ধরনের জাহাজ আটক করেন। ১৫১৫ সালে মাজুরকাতে তারা কিছু গ্যালিয়ন, একটি গ্যালি এবং তিনটি বর্কিও আটক করেন। একই বছর অরুজ উসমানীয় সুলতান সেলিম ১, এর জন্য অনেক দামি উপহার সামগ্রী প্রেরন করেন এবং তার প্রতিদানে সুলতান তাকে দুটি গ্যালি এবং দুটি স্বর্ণখচিত তরবারি প্রেরন করেন। ১৫১৬ সালে কার্তোগ্লি তাদের সাথে যোগ দেওয়ার পর তারা এলবা দুর্গ ঘেরাও করেন এবং লিগুরিয়ার উদ্দেশ্যে পুনরায় যাত্রা শুরু করেন। যাত্রাপথে তারা ১২টি জাহাজ আটক করেন এবং ২৮টি জাহাজের ক্ষতি সাধন করেন।
১৫২৬ সালের জুলাইয়ে বারবারোসা আবার মেসিনায় উপস্থিত হয়ে ক্যাম্পানিয়ার উপকূলে অভিযান চালায়। ১৫২৭ সালে, তিনি ইতালি এবং স্পেনের উপকূলে বহু বন্দর এবং দূর্গ আক্রমণ করেছিলেন। ১৫২৯ সালের মে মাসে তিনি আলজিয়ার্স পেরোন দ্বীপে স্পেনীয় দূর্গটি দখল করেছিলেন। আগস্ট ১৫২৯ সালে, তিনি স্পেনের ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলগুলিতে আক্রমণ করেছিলেন এবং পরে আন্ডালুসিসের জিব্রাল্টারের সোজা পথ পেরোনোর জন্য অনুরোধের জবাব দিয়ে তিনি ৭০,০০০ মুদিজারকে পরপর সাত যাত্রায় আলজিয়ার্সে স্থানান্তরিত করেন।[১৯]
অবসর ও মৃত্যু
[সম্পাদনা]বারবারোসা কন্সটান্টিনোপলে ১৫৪৫ সালে অবসর গ্রহণ করেন, এবং তার পুত্র হাসান পাশাকে তার জায়গায় নিযুক্ত করেন। তার সাফেল্যের জন্য তাকে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবোর্চ্চ সম্মানে ভূষিত করা হয়। তিনি সাম্রাজ্যের সবোর্চ্চ ইমপেরিয়াল কাউন্সিলে স্থান পান এবং অবসরে যাওয়ার পরও রাষ্ট্রের অনেক গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিতেন। ইসলামের ইতিহাসে এই শ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে সফল কমান্ডার ১৫৪৬ সালে ৬৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।[২০]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]পদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ "Barbarossa | Ottoman admiral"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৩।
- ↑ ক খ Capponi, Niccolò. (২০০৭)। Victory of the West : the great Christian-Muslim clash at the Battle of Lepanto (১ম সংস্করণ)। Cambridge, MA: Da Capo Press। পৃষ্ঠা 30। আইএসবিএন 0-306-81544-3। ওসিএলসি 86222610।
- ↑ Konstam, Angus (২০১৬-০৮-২৫)। The Barbary Pirates 15th-17th Centuries (ইংরেজি ভাষায়)। Bloomsbury Publishing। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 978-1-4728-1544-6।
- ↑ ক খ গ ...Ottoman admiral Hayreddin Barbarossa (son of a Turkish sipahi [fief-holder in the cavalry service]) from Yenice-i Vardar in Macedonia and a Greek woman from Lesbos/Mytilini..., Machiel Kiel, "The Smaller Aegean Island in the 16th-18th Centuries According to Ottoman Administrative Documents" in Siriol Davies, Jack L. Davis, Between Venice and Istanbul: Colonial Landscapes in Early Modern Greece, ASCSA, 2007, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৬৬১-৫৪০-৯, p. 36.
- ↑ Bozbora, Nuray (১৯৯৭)। Osmanlı yönetiminde Arnavutluk ve Arnavut ulusçuluğu'nun gelişimi। পৃষ্ঠা 16।
- ↑ Born in Mytilene around 1466 to a family of Albanian origin, Hayreddin, then called Hizir., Niccolò Capponi, Victory of the West: The Great Christian-Muslim Clash at the Battle of Lepanto, Da Capo Press, 2007, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৩০৬-৮১৫৪৪-৭, p. 30.
- ↑ Encyclopaedia Britannica, Vol 1, Encyclopaedia Britannica, 1972, p. 147.
- ↑ Kissling, H. J.; Spuler, Bertold; Barbour, N.; Trimingham, J. S.; Braun, H.; Hartel, H. (১৯৯৭-০৮-০১)। The Last Great Muslim Empires (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। পৃষ্ঠা ১১৪। আইএসবিএন 978-90-04-02104-4।
- ↑ İsmail Hâmi Danişmend, Osmanlı Devlet Erkânı, pp. 172 ff. Türkiye Yayınevi (Istanbul), 1971. (তুর্কি)
- ↑ Nina Ergin, Christoph K. Neumann, Feeding People. Feeding Power: Imarets in the Ottoman Empire, EREN, 2007, p. 98.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৩।
- ↑ ক খ Christine Isom-Verhaaren, Allies with the Infidel: The Ottoman and French Alliance in the Sixteenth Century, p. 73, I.B.Tauris 2011 আইএসবিএন ১-৮৪৮৮৫-৭২৮-৪
- ↑ Kissling, H. J.; Spuler, Bertold; Barbour, N.; Trimingham, J. S.; Braun, H.; Hartel, H. (১৯৯৭-০৮-০১)। The Last Great Muslim Empires (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। আইএসবিএন 978-90-04-02104-4।
- ↑ Hayreddin Barbarossa, who would rise to become the ruler of Algiers, and later admiral of the Ottoman fleet, was of Greek origin and got his start raiding the southern and western shores of Anatolia on behalf of Korkud, son of Bayezid..., Virginia H. Aksan & Daniel Goffman, The early modern Ottomans: Remapping the Empire, Cambridge University Press, 2007, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮১৭৬৪-৬, p. 106.
- ↑ Die Seeaktivitäten der muslimischen Beutefahrer als Bestandteil der staatlichen Flotte während der osmanischen Expansion im Mittelmeer im 15. und 16. Jahrhundert, p.548, Andreas Rieger, Klaus Schwarz Verlag, 1994
- ↑ the sons of a Greek renegade from Mytilene, A. W. Lovett, Early Habsburg Spain, 1517-1598, Oxford University Press, 1986, আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৮২২১৩৯-৫, p. 132.
- ↑ Khiḍr was one of four sons of a Turk from the island of Lesbos., "Barbarossa", Encyclopædia Britannica, 1963, p. 147.
- ↑ Angus Konstam, Piracy: The Complete History, Osprey Publishing, 2008, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৮৪৬০৩-২৪০-০, p. 80.
- ↑ The Expulsion of the Moriscos from Spain: A Mediterranean Diaspora (ইংরেজি ভাষায়)। BRILL। ২০১৪-০৯-২২। আইএসবিএন 978-90-04-27935-3।
- ↑ "Hayreddin Barbarossa"। badass। ১৩ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Currey, E. Hamilton (১৯১০)। Sea-Wolves of the Mediterranean। London।
- Bono, Salvatore (১৯৯৩)। Corsari nel Mediterraneo। Perugia: Oscar Storia Mondadori।
- "Corsari nel Mediterraneo: Condottieri di ventura. Online database in Italian, based on Salvatore Bono's book."। ৫ মে ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৩।
- Bradford, Ernle (১৯৬৮)। The Sultan's Admiral: The life of Barbarossa। London।
- Wolf, John B. (১৯৭৯)। The barbary coast : Algiers under the Turks : 1500 to 1830 (1st ed. সংস্করণ)। New York: W. W. Norton & Company। আইএসবিএন 0-393-01205-0।
- "The Ottomans: Comprehensive and detailed online chronology of Ottoman history in English."।
- "Turkish Navy official website: Historic heritage of the Turkish Navy (in Turkish)"। ৮ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১৩।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- The Life of Barbarossa ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে in www.ottomannavy.com
- Britannica Concise Encyclopedia
- An article on the Barbarossa brothers
- Another article on the Barbarossa brothers
- Original Gazawat by Seyyid Muradi ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে
- Hayreddin Barbarossa's tomb in Beşiktaş
- Hayreddin Barbarossa'nın Hatıraları (Memoirs of Hayreddin Barbarossa in Turkish)
- ১৪৭৮-এ জন্ম
- ১৫৪৬-এ মৃত্যু
- বারবারি জলদস্যু
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের অ্যাডমিরাল
- আলজেরিয়ার রাষ্ট্রের প্রধান
- ১৫শ-শতাব্দীর উসমানীয় মানুষ
- ১৬শ-শতাব্দীর উসমানীয় মানুষ
- সুলায়মান ম্যাগনিফিসেন্ট
- ১৪৭৬-এ জন্ম
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের মুসলিম
- প্রাইভেটিয়ার
- উসমানীয় সাম্রাজ্যের তুর্কি
- উসমানীয় আলবেনীয়
- উসমানীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা
- কাপুদান পাশা
- ১৬শ শতাব্দীর উসমানীয় সাম্রাজ্যের ব্যক্তি