বিষয়বস্তুতে চলুন

চিত্রা নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিত্রা নদী
চিত্রা নদী
অবস্থান
দেশবাংলাদেশ
জেলাচুয়াডাঙ্গা
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎসচুয়াডাঙ্গাদর্শনার নিম্নস্থল
দৈর্ঘ্য১৭০ কিলোমিটার (১১০ মাইল)

চিত্রা নদী বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গোপালগঞ্জ জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৫৩ মিটার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক চাটখালী নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৩৪।[] নদীটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে প্রবাহিত গঙ্গা-পদ্মা সিস্টেমের একটি বিশাল উপকূলীয় নদী।[] নদীটির দৈর্ঘ্য ১৭০ কি.মি.।

প্রবাহ

[সম্পাদনা]

চিত্রা নদীটি চুয়াডাঙ্গাদর্শনার নিম্নস্থল থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কালিগঞ্জ, মাগুরার শালিখা ও কালিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গাজীরহাটে নবগঙ্গা নদীর সাথে মিলেছে এবং এর মিলিত স্রোত খুলনার দৌলতপুরের কাছে ভৈরব নদীতে মিশেছে।

বর্তমান অবস্থা

[সম্পাদনা]

একসময় চিত্রা নদী অত্যন্ত খরস্রোতা থাকলেও বর্তমানে কতিপয় প্রাকৃতিক কারণ, কালভার্ট নির্মাণ ও মূলত দখলদারির কারণে তা মৃতপ্রায় হয়ে রয়েছে। অব্যবহারযোগ্য পানিধারণকারী এ নদী দুর্গন্ধও ছড়াচ্ছে বটে।[][]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৩৯। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  2. ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর, সম্পাদকগণ (২০১২)। "চিত্রা নদী"বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. "খরস্রোতা চিত্রা নদী এখন মরা খাল"দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৪ 
  4. "উৎসমুখ শুকিয়ে যাওয়ায় চিত্রা নদী মরে যাচ্ছে"দৈনিক জনকণ্ঠ। ২০১৪-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১০